প্রকাশিত: ২২/০৯/২০১৮ ৬:৩১ পিএম

দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে সরকার সব ধরনের প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। সবশেষ এই শিল্পের জন্য একটি খসড়া নীতিমালা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মোটরসাইকেল রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশনা জারি হয়েছে।
এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সদ্য অনুমোদিত মোটরসাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে ১৫০ সিসির মোটরসাইকেল দেশের বাজারে বিক্রি হবে এক লাখ টাকার নিচে।
তবে আমদানি কমানোর নির্দেশনা না থাকায় নীতিমালার বাস্তবায়ন নিয়ে কিছুটা দ্বিধা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
গত ১১ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ‘মোটর সাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা,২০১৮’ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়, যাতে দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, মোটরসাইকেল খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান পাঁচ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে ১৫ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশিয় প্রযুক্তিতে ২০২১ সালের মধ্যে পাঁচ লাখ এবং ২০২৭ সালের মধ্যে ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে এই নীতি অনুমোদন দেয়ার দিনেই বাংলাদেশ ব্যাংক মোটরসাইকেলসহ ৯টি পণ্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেদিন থেকেই এটি কার্যকর বলে জানানো হয়।
মূলত বৈশ্বিক বাজারে এসব পণ্যের প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা বাড়ানো ও রপ্তানিকে চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যে নগদ সহায়তার মতো প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
নিটল-নিলয় মোটরস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন- ‘আজকে যে মোটরসাইকেলের দাম দুই লাখ, দেড় লাখ, ম্যানুফ্যাকচারিং করার জন্য এই দামটা নেমে আসবে এক লাখের নিচে।
তবে মোটরসাইকেলকে উৎসাহিত করার জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স আরও সহজ করে দিতে হবে বলে জানান তিনি। বলেন, এটির রেজিস্ট্রেশন কস্ট ও রোড ট্যাক্স সর্বনিম্নে রাখা উচিত।
রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, মোটরসাইকেল শিল্প উৎসাহিত করতে সরকার নীতিমালা করেছে- এটা এ খাতের জন্য সুখবর। তবে এই নীতিমালার মধ্যে এই জিনিসটা নাই যে, আমদানিকে কীভাবে নিরুৎসাহিত করা হবে।
তার দেয়া তথ্য মতে, নেপালে এখন পর্যন্ত রানারের এক হাজার মোটরসাইকেল রপ্তানি হয়েছে। সারা বিশ্বে মোটরসাইকেলের বাজার দুই কোটির মতো। কিন্তু আফ্রিকার বাজারে আমরা যেতে পারছি না। কারণ, চীন তাদের মোটরসাইকেল রপ্তানিকারকদের ১৮ শতাংশ করে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। সরকার আমাদের ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এটা দেয়ার ফলে আরও প্রতিযোগিতা-সক্ষম হয়ে উঠতে পারবো। সেই সঙ্গে বাজার বাড়াতেও সক্ষম হবো।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আশা বাংলাদেশ-গাম্বিয়ার

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়া। ...

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারামুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মে) সকাল ...

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উখিয়ায় হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগির নির্মাণ শুরু

উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ...